ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

এফডিসিতে জমজমাট মোল্লা মান্নানের মুড়ি উৎসব

এফডিসির পরিচিত মুখ মোল্লা আব্দুল মান্নান। দীর্ঘ চল্লিশ বছর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারেননি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ফিরে যেতে চান নিজ গ্রামে। কিন্তু তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। গত ৬ জানুয়ারি আব্দুল মান্নানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই আব্দুল মান্নানকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতার জন্য চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা এগিয়ে আসেন। তারা ‘মোল্লার মুড়ি উৎসব’ আয়োজন করেন।


গতকাল বিকাল ৩টায় (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (বিএফডিসি) এই উৎসব শুরু হয়। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে মোল্লা আব্দুল মান্নান মুড়ি বিক্রি করছেন। যারা তাকে সহযোগিতা করতে চান তারা সৌজন্য মূল্যে তার কাছ থেকে মুড়ি কিনছেন। প্রথম দিনেই দারুণ সাড়া পড়েছে উৎসবে। মোল্লার জন্য এগিয়ে এসেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীরা।


চিত্রনায়ক আলমগীর, জায়েদ খান, প্রযোজক ফরমান আলী, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, প্রযোজক জাহাঙ্গীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরন, শাহীন সুমন, সাইমন তারিক, আরিফুর জামান আরিফ, জাসিম উদ্দিন জাকির, আবু রায়হান জুয়েল, চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ, তানিন সুবাহ ও অরিন, অভিনেতা হারুন রশিদ, আব্দুল হক, সাংবাদিক প্রতীক আকবর, এসকে মিডিয়া ও আল মামুন (পুলিশ) প্রমুখ এই উৎসবে শামিল হয়েছেন।


আব্দুল মান্নান এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। শেষ বয়সে গ্রামের বাড়ি ফিরে গিয়ে ছোট্ট একটি দোকান দিতে চান। এজন্য তার ১ লাখ টাকা প্রয়োজন। ১৯৭২ সালে এফডিসির মসজিদে বিনা পারিশ্রমিকে খাদেম হিসেবে কাজ শুরু করেন আব্দুল মান্নান। এখনো সেই পেশায় নিয়োজিত আছেন। পাশাপাশি ঝালমুড়ি বিক্রি করে চলছিল তার জীবিকা। বর্তমানে তিনি অসুস্থ, হাত-পা আগের মতো সচল নেই। প্যারালাইসিসে শরীরের একপাশ অবশ। এক হাত দিয়েই সব কাজ করেন তিনি।


উৎসব আয়োজনের পেছনে কাজ করছেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার, রুহুল আমিন ভূঁইয়া। তারা প্রত্যেকেই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত।

ads

Our Facebook Page